Posts

আর কতদিন আমরা জেগে ঘুমাবো!

Image
  আর কতদিন আমরা জেগে ঘুমাবো! যাকে ধারণ ক'রে, যা অনুশীলন ক'রে যথেষ্ট সুস্থ ও বিকশিত মনের মানুষ হয়ে ওঠা সম্ভব, তা-ই হলো ধর্ম।  যা আমাদেরকে বিকাশ পথ থেকে বিচ‍্যুত ক'রে, দীনহীন অন্ধবিশ্বাসী স্তাবকে পরিণত ক'রে তোলে তা কখনোই মানুষের ধর্ম হতে পারে না।  একবারও কি প্রশ্ন জাগেনা মনে? আমাদের ধর্ম যদি শ্রেষ্ঠ ধর্ম-ই হবে, তাহলে সেই ধর্মীয় শিক্ষা এতো দিনেও আমাদেরকে কেন শ্রেষ্ঠ মানবজাতি ক'রে তুলতে পারেনি? কেন আমরা এখনো অজ্ঞানতার অন্ধকারেই পড়ে আছি? কেন আমরা বিদেশি বিধর্মী মানুষের দ্বারা বারবার আক্রান্ত হচ্ছি? কেন পরাধীনতার নির্যাতন নিপীড়ন ভোগ করতে হচ্ছে আমাদের? কেন ভিন্নধর্মীদের জ্ঞান-বিজ্ঞানকে অবলম্বন ক'রে বাঁচতে হয় আমাদের?  আমরা এতটাই নরাধম হয়ে পড়েছি যে, আমরা প্রশ্ন করতেও ভুলে গেছি। আত্মসমালোচনা আমাদের কাছে পীড়াদায়ক হয়ে উঠেছে! মিথ্যা আত্মসন্তুষ্টি নিয়ে আমরা মোহাচ্ছন্ন হয়ে থাকতেই বেশি পছন্দ করছি এবং ক্রমশ ধ্বংসের দিকে এগিয়ে চলাটাই আমাদের পরমগতি বলে ভেবে নিয়েছি।  আমরা মুখে বলি, "সত্য চাই"। প্রকৃতপক্ষে আমরা সত্য চাইনা। অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ার ভয়ে আমরা সত্যকে এড়িয়ে চলি। ক

তুমি ও ঈশ্বর

Image
 তুমি ও ঈশ্বর  তোমার মস্তিষ্ককে বহুগুণ~ আরও বহুগুণ বড় করে কল্পনা করো, দেখবে সেটি মহাবিশ্বের মতোই দেখাবে। তোমার এই মস্তিষ্কের মধ্যে যেমন 'মন' সফটওয়্যার রূপে একটি চেতন সত্তা রয়েছে, মহাবিশ্বের মধ‍্যেও তেমনই একটি মন আছে। সে-ই হলো বিশ্ব-মন বা ঈশ্বর-মন। এই মহাবিশ্বই হলো আমাদের স্রষ্টা বা ঈশ্বর।  এর বাইরে স্রষ্টা বা ঈশ্বর বলে কোনো কিছুর অস্তিত্ব নেই। ঈশ্বর তার বিশ্বরূপ শরীর ও তার মন উপাদান থেকেই জীব তথা মানুষ সৃষ্টি করেছে।  ঈশ্বর কৃত আমাদের এই মন-সফটওয়্যার এবং তারমধ্যে তৎকর্তৃক অন্তর্গ্রথিত করে দেওয়া প্রোগ্রামিং অনুযায়ী আমরা যাবতীয় কাজ করে থাকি। ঈশ্বর যদি চাইতো, আমরা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে তার উপাসনা করি, এবং যদি সে আমাদেরকে কোনো নির্দিষ্ট ধর্মের পথে পরিচালিত করতে চাইতো, সেক্ষেত্রে স্বভাবতই সেইরূপ প্রোগ্রাম সে আমাদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে দিতো। তার জন্য আলাদা করে  বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন প্রকারের শাস্ত্র রচনা করার প্রয়োজন হতোনা তার। আসলে এসবই ধর্ম ব‍্যবসায়ীদের কারসাজি।  ~মহর্ষি মহামানস Imagine enlarging your brain many times ~ many times more, and it will look like the universe.  Just as

সুখী হওয়ার মূল মন্ত্র ● মহর্ষি মহামানস

Image
 সুখী হওয়ার মূল মন্ত্র ● মহর্ষি মহামানস সুখী হয় আমাদের মন। মনের মধ্যে সুখের এক প্রকার ভাব-তরঙ্গ প্রবাহিত হতে থাকলে, আমরা সুখ বোধ করে থাকি।   এই সুখ বোধ করার পিছনে সাধারণত কোনো না কোনো বাস্তব কারণ থাকে। কাঙ্খিত কোনো কিছুর প্রাপ্তি অথবা কোনো অভাব পুরণের মাধ্যমে আমরা সুখী হই। এছাড়াও অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো কিছুর বিয়োগের ফলেও সুখ বোধ হতে পারে। আবার অনেক সময় বাস্তব কারণ ছাড়াও কাল্পনিক কোনো বিষয়-বস্তুর মাধ্যমে অথবা আপাত দৃষ্টিতে কোনো কারণ ছাড়াও মনের মধ্যে সুখের ভাব তরঙ্গ প্রবাহিত হতে পারে।   তবে কোনো সুখই বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়না। সুখের ভাব-তরঙ্গ অচিরেই উধাও হয়ে যায়।   বিপরীত দিক থেকে, দেখা যাবে, অনেকে স্বল্প কারণেই অথবা আপাত দৃষ্টিতে অকারণেই অসুখী বোধ করছেন। কারো কারো ক্ষেত্রে কাল্পনিক কারণেই তাদের মনের মধ্যে অসুখের ভাব-তরঙ্গ প্রবাহিত হয়ে চলেছে। মানসিক বা শারীরিক অসুস্থতার কারণে অনেকেই অসুখী হয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থতা লাভ করতে হবে। অসুখী ভাব কিন্তু সুখী ভাবের চাইতে অনেক বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়ে থাকে। তবে কারণে, অকারণে বা স্বল্প কারণে অসন্তুষ্ট হওয়ার ফলে অসুখী হওয়ার ঘটনাই বেশি। অসন

A highly effective way to prevent and defeat coronavirus has been discovered!

Image
  A highly effective way to prevent and defeat coronavirus has been discovered! The high tide of coronavirus (COVID-19) has hit us again! And there are likely to be more deadly repeated hits in the future. There is no way to stop this deadly virus. In this time of deep crisis, I have come up with a great way to prevent viral infections including proper treatment of viral infections that can save countless lives. This method will be effective in multiple ways. It is able to inactivate the virus and block and prevent the virus from entering the body cells. And the medicine I made will heal the person infected by the virus. And it is not harmful to the body.  Currently most people are using masks and sanitizers to protect themselves from the virus. Which are not sufficiently defensive against this virus. Medicine and vaccines are not effective enough to meet human needs. This invention of mine is much more fruitful than the conventional system. Even if this method is used, there will be n

একটি মানববিকাশ মূলক অসাধারণ ইউটিউব চ‍্যানেল

Image
 একটি মানববিকাশ মূলক অসাধারণ ইউটিউব চ‍্যানেল সাবস্ক্রাইব করে নিয়মিতভাবে বহু অজানা তত্ত্ব ও তথ্য সমৃদ্ধ অত্যন্ত উপকারী তথা লাভদায়ক ভিডিওগুলো পেতে থাকুন। https://m.youtube.com/channel/UCUkflGotglWcMAb8oHe1VlA

ধর্ষণ : এক জ্বলন্ত সমস্যা এবং তার সমাধান

Image
  ধর্ষণ : এক জ্বলন্ত সমস্যা এবং তার সমাধান ~মহর্ষি মহামানস (সুমেরু রে) অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ধর্ষণ সংঘটিত হওয়ার পিছনে প্রধান কারণ হলো~ ধর্ষকামী (অজ্ঞান-অসুস্থ-বিকারগ্রস্ত) ব‍্যক্তির শরীর ও মনের মধ্যেকার নিয়ন্ত্রণ-অযোগ্য অত‍্যাধিক কামোত্তেজনা।  কোনো সাধারণ শিক্ষা~ আইন বা শাসন-ই এই অস্বাভাবিক কামোত্তেজনাকে নিয়ন্ত্রণ বা দমন করতে সক্ষম নয়। একমাত্র উপযুক্ত চিকিৎসাই পারে এর প্রশমন ঘটাতে। তারপরে প্রয়োজন হয় মনোবিকাশের শিক্ষা।  অসুস্থ কামোত্তেজনা এর আপাত কারণ হলেও, এই অসুস্থতার পিছনে রয়েছে আরো অনেক সংঘটক। তাই শুধু কামোত্তেজনার চিকিৎসা করলেই হবেনা, এর পিছনে যেসব উৎপাদক বিষয়গুলো রয়েছে তাদের জন্যেও ব‍্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নাহলে, সমস্যা থেকেই যাবে।  অসুস্থ অস্বাভাবিক কামোত্তেজনা ঘটানোর জন্য দায়ী মূল কারণগুলো কি কি এবার দেখতে হবে আমাদের। প্রথমেই যেটা উল্লেখযোগ্য তা হলো, বংশগত দোষ বা কারণ। পরবর্তীতে যেসমস্ত আচরণগত দোষ-ত্রুটিগুলো উল্লেখ করেছি, সেগুলোই পূর্বপুরুষদের ক্ষেত্রে ঘটে থাকলে, তার কুফল উত্তর পুরুষের মধ্যে সংক্রামিত হবে, এবং সেই কুফল উত্তর পুরুষদেরও ভোগ করতে হবে। আমাদের অনেক অসুস্থতার পিছনেই রয়েছ

প্রসঙ্গ : মা-বাবা ও সন্তান এবং তাদের কর্তব্য

Image
  প্রসঙ্গ : মা-বাবা ও সন্তান এবং তাদের কর্তব্য ~মহর্ষি মহামানস সন্তান বড় হয়ে মা-বাবার দায়িত্ব নেবে, মানুষের সমাজে এই ব‍্যবস্থা বহুকাল ধরে চলে আসছে। অন‍্যান‍্য জীবের মধ্যে এইরূপ দেখা যায়না। মানুষ তার জ্ঞান-বুদ্ধির দ্বারা ভবিষ্যতকে সুরক্ষিত~ সমস্যা মুক্ত করতেই এই ব‍্যবস্থার প্রচলন ঘটিয়েছে। আর এই ব‍্যবস্থাকে পাকাপোক্ত ক'রে তুলতে, মা-বাবাকেও সন্তানের প্রতি বিশেষ কিছু দায়িত্ব পালন করতে হয়। সন্তানকে সুস্থ, শিক্ষিত, সাবলম্বী ক'রে তোলাসহ নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব নিতে হয়, এবং সর্বোপরি সন্তানকে যথেষ্ট বিকশিত মনের মানুষ ক'রে তোলার দায়িত্ব নিতে হয় বাবা-মাকে। সন্তানও একসময় মা-বাবা হবে, তখন তারাও এই ব‍্যবস্থার সুফল পেতে পারবে।  এছাড়াও আরেকটি ব‍্যবস্থা আছে, তা' হলো, ভবিষ্যতে মা-বাবার অর্থ-সম্পদ লাভ করতে পারবে তাদের সন্তান।  এখন সমস্যা হলো, অনেক সন্তান তাদের বৃদ্ধ মা-বাবার প্রতি এই দায়িত্ব পালন করছে না। বহু ক্ষেত্রেই সমাজের এই ব‍্যবস্থা কার্যকর হচ্ছে না! কেন এর কারণটা কী!  বিষয়টিকে ভালভাবে বুঝতে, সমস্যার মূলে পৌঁছাতে হলে, আমাদের আরেকটু পিছনে ফিরে যেতে হবে। অধিকাংশ মানুষ সন্তানের জন্ম দ